কেইনসিয় অর্থনীতি কি?

Alauddin's Blog

 

Image

অর্থনীতিশাস্ত্রের কথা মাথায় আসলেই যে দুইটি ধারণা মনের কোণে ভেসে উঠে তা হল মাইক্রো অর্থনীতি এবং ম্যাক্রো অর্থনীতি। অবাক করা বিষয় হল এই ম্যাক্রো বা সামষ্টিক অর্থনীতি চর্চা শুরু হয়েছে কিন্তু বেশিদিন হয়নি। মাত্র গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকের মহামন্দা থেকে অর্থনীতিকে পূনরুদ্ধারে মহামতি কেইনস যে বটিকা দিয়েছিলেন তাই শেষ পর্যন্ত নতুন এক সাবডিসিপ্লিনের জন্ম দিয়ে ফেলেছে যেটা আজ আমরা সামষ্টিক অর্থনীতি নামে চিনে থাকি। কেইনসকে এবং কেইনসিয় অর্থনীতি বোঝা তাই এই শাস্ত্রের বিবর্তন বোঝার গুরুত্বপূর্ণ এক দিক।

কেইনসিয় অর্থনীতির শুরু মূলত ‘The General Theory of Employment, Interest and Money’ (1936), এর মাধ্যমে, যা ১৯৩০-এর অর্থনৈতিক মহামন্দা-র প্রেক্ষাপটে সামষ্টিক অর্থনীতির একটি বিশেষ তত্বের সূচনা করে। কেইনসিয় অর্থনীতির মূল প্রস্তাব অর্থনৈতিক মন্দা নিরসনার্থে সরকারের তরফে অর্থনীতির সম্প্রসারণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।

এই বইটি Short Run বা স্বল্প মেয়াদে যেখানে মূল্যস্তর Sticky বা সম্পর্কযুক্তভাবে অবাধ সেখানে জাতীয় আয়ের নির্ণায়ক নির্ধারণের উপর গুরুত্ব দেয়। Low Effective Demand বা নিম্ন সক্রিয় চাহিদার কারণে শ্রম বাজারে High…

View original post 361 more words

রাষ্ট্র কখন ব্যার্থ হয়: Why Nations Fail এর পাঠ প্রতিক্রিয়া

Alauddin's Blog

Why-Nations-Fail

বাংলাদেশের ৪৪ বছরে পদার্পনের প্রাক্কালে দেখছিলামএমআইটি’র অধ্যাপক ডারেন এসেমোগলু এবং হার্ভাডের অধ্যাপক জেমস রবিনসনের লিখা Why Nations Fail: The Origin of Power, Prosperity, and Poverty বইটি। অর্থনীতি এবং রাজনীতির যুগপৎ সম্পর্ক নিয়ে লিখা এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১২ সালের মার্চে। ৫৪৬ পৃষ্ঠার বইটি অল্প সময়ের মধ্যেই অর্থনীতি এবং রাজনীতি দুই দুনিয়ায়ই ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে।

বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় বইয়ের তথ্য এবং বক্তব্যগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত রিভিয়্যু শেষে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছি এই লেখায়।

১৫ চ্যাপ্টারের বইটিতে লেখকদ্বয় কোন দেশের কিংবা রাষ্ট্রের সাকসেস অথবা ব্যার্থতাকে দেশটির অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় কিংবা সমন্বয়হীনতার ফল হিসেবে।এই বইয়ে দাবি করা হয়েছে যে, দুইটি দেশের মধ্যকার পার্থক্য প্রধানত তৈরি হয় তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে। একটি দেশ এগিয়ে যায় যখন তা ইনক্লুসিভ বা অন্তর্ভুক্তিমূলকরাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকপ্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারে, আর এই প্রতিষ্ঠানগুলো যাদের ক্ষেত্রে অল্প কিছু লোকের লুন্ঠন এবং ফায়দা লোটার হাতিয়ার হয় তখনই রাষ্ট্র ব্যার্থ হয়।

অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান মানে হল এমন প্রতিষ্ঠান যেগুলো সম্পত্তির…

View original post 1,008 more words

বিজয়ের চার দশকঃ অর্জন ও বিসর্জন; একটি অর্থনৈতিক পাঠ

Alauddin's Blog

বিজয়ের চার দশকঃ অর্জন ও বিসর্জন; একটি অর্থনৈতিক পাঠ ।। আলাউদ্দীন মোহাম্মদ

DUCSU ক্যাফেটেরিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সময়ঃ ১৪ ডিসেম্বর, সন্ধ্যা ০৬.০০ টা।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি রিডিং ক্লাবের ৪৭-তম সেশনের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো “বিজয়ের চার দশকঃ অর্জন ও বিসর্জন; একটি অর্থনৈতিক পাঠ”।

শুরুতেই সঞ্চালক কে. এন. ইপ্সিতা এবং জুলফিকার ইসলাম অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের অর্জন ও বিসর্জন কে বেছে নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন। এরপর মূল বক্তা তাঁর আলোচনা শুরু করেন।

তিনি তাঁর আলোচনায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান, এক্ষেত্রে উন্নয়ন অর্থনীতির আলোকে এর কি ব্যাখ্যা এবং প্রাসঙ্গিক ফিলিপ বউরিং এর উন্নয়ন ধাঁধাঁ তর্কের উল্লেখ করেন । এছাড়াও এখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন (WB, IMF, OECD, G-8, D-8) এর ভূমিকা ও উদ্দেশ্য যে মূলত অর্থনৈতিক অর্জনকে টার্গেট করেই হয় সে বিষয়টির দিকে ঈঙ্গিত দেন। তারপর বক্তা তাঁর বক্তব্যে একটি রাষ্ট্রের সংজ্ঞা ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন। এসময় তিনি একটি রাষ্ট্রের অর্জন মানেই প্রধানত অর্থনৈতিক অর্জন বলে মন্তব্য করেন। ভেঙ্গে…

View original post 567 more words

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই ভাষাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে

Alauddin's Blog

পৃথিবীতে এখন জীবিত ভাষা আছে ৭০০০ এরও অধিক। বিভিন্ন ভাষায় ভাবপ্রকাশী মানুষের সংখ্যা বিভিন্ন হলেও সর্বাধিক জনগোষ্ঠীর ভাষাই শক্তিশালী ভাষা হওয়ার যৌক্তিক দাবিদার। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সব ভাষাই সমান গুরুত্বপূর্ণ নয় ও হয়ে উঠে না। শিল্প, সাহিত্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ইত্যাদির পাশাপাশি বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে কোন ভাষার শক্তি বাড়বে ও গুরুত্বপূর্ণ হবে তার অনেকাংশই নির্ভর করে ওই ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর।

ভাষার বৈশ্বিক গুরুত্ব

আমরা যদি বর্তমাণ বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কিংবা শক্তিশালী ভাষাগুলোর দিকে নজর দিই তাহলে দেখতে পাবো ইংরেজি সেখানে প্রথম স্থান দখল করে আছে। তবে জনগোষ্ঠীর দিক দিয়ে ২০১১ সালের হিসেবে মান্দারিন (চীনা) প্রথম, যেটি ৮৭ কোটি ৪০ লাখ মানুষের প্রথম ভাষা, হিন্দি দ্বিতীয়, যেটি ৩৬ কোটি ৬০ লাখ মানুষের প্রথম ভাষা, ইংরেজি তৃতীয়, যেটি ৩৪ কোটি ১০ লাখ মানুষের প্রথম ভাষা। তারপর রয়েছে স্প্যানিশ, যেটি ৩২ কোটি ২০ লাখ মানুষের প্রথম ভাষা ও এরপরের স্থানটি বাংলা ভাষার। তথ্যমতে বাংলায় কথা বলে ২০ কোটি ৭০…

View original post 1,626 more words

নানামুখী সংকটে দেশের অর্থনীতি: প্রয়োজন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়

Alauddin's Blog

Image

সরকারের আয়ের তুলনায় ব্যয় ক্রমাগত হারে বেড়েই চলেছে। চলতি অর্থবছরের আগষ্ট-সেপ্টেম্বর এ দুই মাসেই সরকার ব্যাংক থেকে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ গ্রহণ করেছে। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাত্র ৩৬১ কোটি টাকা। বিদেশী সাহায্যের আশানুরুপ সাড়া না পাওয়া,রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়া এবং বিনিয়োগে মন্দার কারণে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যেও। অন্যদিকে নিম্ন প্রবৃদ্ধির রপ্তানির বিপরীতে বিলাসদ্রব্য প্রধান আমদানি বেড়েছে বহুগুণ। এরফলে বাণিজ্যের ভারসাম্য নেতিবাচক পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে এবং বিনিময় হার,আভ্যন্তরীণ সুদের হার বৃদ্ধিসহ সামষ্টিক অর্থনীতির সুচকগুলো নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের জরিপে ‘বিশ্ব প্রতিযোগিতা সক্ষমতা জরিপ ২০১১-১২’ এবং ‘বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ পরিস্থিতি প্রতিবেদন ২০১১’-এ দেখা যায়,বিশ্বের ১৪৮ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় এক ধাপ পিছিয়ে ১০৮ নম্বর ঘরে অবস্থান করছে। স্বভাবতই দেশের অর্থনীতিবীদ এবং বিশেষজ্ঞ মহল বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশংকা প্রকাশ করছেন। কিন্তু আদতেই দেশের অর্থনীতিতে কোন বিপর্যয়ের আশংকা আছে কিনা তা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন ।

ব্যাংক…

View original post 1,409 more words

সিনেমা পর্যালোচনা -‘মানব শিশু’ (আলফেনসন ক্যারন,২০০৬)

লিডিং লাইট

(llcobangla.org)
 
এই চলচ্চিত্রটিতে ইউরূপে আগামীদিনে কি কি ঘটতে যাচ্ছে সেই সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। নারীরা ভাবছেন তাঁরা জন্মদান থেকে বিরত থাকবেন। ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড সহ সর্বত্র নানা ঝামেলা দেখা দিচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদী দুনিয়ার অর্থনীতি অকার্যকর হয়ে পড়ছে। ইউরূপের কোন কোন  মানুষ আবার দরিদ্র হতে শুরু করেছে। তবে তা কোন কোন এলাকায় তা ছবিটিতে পরিস্কার নয়। ক্রমবর্ধমান বিশৃংখলা ইউরূপে ফ্যাসিবাদের উন্মেষ ও নিপিড়নের মাত্রা প্রচন্ডভাবে বাড়তে শুরু করেছে। অভিবাসীদেরকে ধরছে, ফেরত পাঠাচ্ছে, তাঁদের উপর চরম নির্মমতা চালাচ্ছে। শহর নগর ঘেরাও করে তাদেরকে পাকড়াও করে নির্দয় আচরন করা হচ্ছে। রাষ্ট্র গুলো ও পরস্পরের সাথে ফ্যসাদে লিপ্ত হয়েছে। ইহা অন্যান্য বিজ্ঞান কল্পকাহীনীর মতই একটি ছবি। মানব শিশু ছবিটিতে অনেক ক্ষেত্রে বারাবারি ধরনের তথ্য ও পরিবেশন করা হয়েছে।

স্বাধীনচেতা নায়ক থিঊ ফ্রেন (ক্লিভ ওয়েন), সাবেক সমাজ বিপ্লবী এখন মদকাসক্ত, তাঁর জীবনের বিশাল অংশই কেটেছে অন্যায়ের বিরুদ্বে লড়াই করে, তিনি তাঁর পুরাতন প্রেমিক  জুলিয়ান কর্তৃক অপহরনের আগ পর্যন্ত একটি অফিসে কাজ করতেন। তিনি অভিবাসীদের স্বাধিনতাকামী গেড়িলা…

View original post 1,174 more words

একটি চলচ্চিত্র সমীক্ষা – মাওসেতুং এর রক্তাক্ত বিপ্লব ……

লিডিং লাইট

(llcobangla.org)

২০০৭ সালে মাওসেতুং এর রক্তাক্ত বিপ্লব ডকুমেন্টারী ফিল্মটি প্রকাশিত হয়। ইহা ‘মাওঃ একটি জীবন’  এবং বি বি সি প্রতিনিধি মি, ফিলিপ সর্ট কর্তৃক প্রকাশিত হয়। এই রক্তাক্ত বিপ্লবকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ইহার প্রথম ভাগে দেখানো হয়েছে চীনের মহান সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সূচনা পর্ব এবং দ্বিতীয় ভাগে দেখানো হয়েছে বিপ্লবের পরবর্তী এক দশক  (১৯৬৬ – ১৯৭৬) পর্যন্ত। দ্বিতীয় ভাগের চার ভাগের তিন ভাগ সময়ই সেই মহান বিপ্লব তুঙ্গে ছিলো । তা হলো ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৬৯ বা ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সময় কাল। আর এর বাকী সময়টা হলো ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল যা মাওয়ের জিনাবসানের সময় কাল। রক্তাক্ত বিপ্লব নামক ডকুমেন্টারী ফিল্মটিতে সাম্যবাদের বিরুদ্বে বিষুদগার করন, ক্ষুধার জ্বালায় মানব শিশু ভক্ষন ও মাওসেতুঙ্গকে এক জন নিস্টুর কসাই হিসাবে নানা ভঙ্গিমায় দেখানো হয়েছে। তাতে আরো দেখানো হয়েছে যে, চিনে একটি সংশোধনবাদী ও কমিউনিজম বিরোধী কার্যক্রম চলছে। আমাদের এই সমীক্ষায় ‘রক্তাক্ত বিপ্লব’ নামক ফিল্মটির প্রতিটি বিষয়ইয়”পুংখনোপুংখ আলোচনা করব না বরং আমরা বৃহত্তর…

View original post 1,760 more words

বহুর বিপরীতে দুই

লিডিং লাইট

Angels-on-the-head-of-a-pin1-278x300

(llbangla.org)

সাম্প্রতিক কালে কতিপয় ব্যাক্তির বক্তব্যের জবাবেঃ

“ কতিপয় বিবর্তনবাদি জীব বিজ্ঞানী, যেমন রিচার্ড লিউ অন্তিন এবং স্টিফেন জে গোল্ড, তাঁরা উভয়ই তাদের কার্য ক্রমে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে ব্যবহার করার প্রয়াস পেয়েছেন। তাঁরা দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে জ্ঞান অনুসন্দ্বানের একটি হাতিয়ার হিসাবে গ্রহন করেছিলেন। লিউ অন্তিন তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেন এই ভাবেঃ

দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ সত্যিকার ভাবে কোন কার্যকরী পদ্বতী নয়, তা কোন কালে ছিল ও না, তা বাস্তবে কোন সমস্যার সমাধান ও দিতে পারে না। ইহা বরং চিন্তার ক্ষেত্রে উদারতা ও গোড়ামীপনা থেকে মানুষকে বেড় করে আনতে সাহায্য করতে পারে। ইহা আমাদেরকে বলে, ‘ ইতিহাস আমাদেরকে প্রশিক্ষিত করতে পারে। মনে করিয়ে দেয় প্রকৃতিতে দ্বৈততা বিদ্যমান। পরিস্থিতি পরিবেশগত কারনে পরিবর্তিত হতে পারে, তা দরকার হলে একটিকে বিনাশ করে হলে ও অন্যটির বিকাশ ঘটিয়ে থাকে। ইহা মনে করিয়ে দেয় সময় ও স্থান সম্পর্কে সচেতন হবার জন্য। গুনগত পরিবর্তন ঘটলে অজান্তেই পরিস্থিতিতির পরিবর্তন হয়ে যাবে’। সর্বপরি ইহা আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, ‘ পরিবর্তনশীল বাস্তব…

View original post 1,960 more words

প্রথম বিশ্ব প্রসঙ্গে-

লিডিং লাইট

879632_700b

(llbangla.org)

“প্রিয় লিডিং লাইট,

প্রথম বিশ্বের লিডিং লাইটগন কিভাবেগরিবসাধারণ মানুষের সাথে মিলিত হবেন ? যেখানে কোন গরিব সাধারণ মানুষই নাই। স্বাভাবিক ভাবেই উচ্চ শ্রেনীর মানুষেরা শ্রেণী হিসাবে সুবিধা পাবেন । কিন্তু তারা চাইলে তৃতীয় বিশ্বের মানুষের জন্য কি করতে পারেন? যেখানে দরিদ্র মানুষনেই সেখানে সাম্যবাদি হওয়া খুব কঠিন কাজ। তবে আমরা কি করতে পারি?”

মহান লেনিনের এই প্রশ্নটি প্রথম বিশ্বের জন্য প্রযোজ্য। “ আমাদের কি করিতে হইবে?” একজন লিডিং লাইট প্রথম বিশ্বে কি কি করতে পারেন। যেখানে তারা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও শ্রেণী শত্রুর দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে আছেন। যারা প্রতিনিয়ত সাম্যবাদের বিরুদ্বে, বিপ্লবের বিরুদ্বে ও সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে কাজ করে চলেছেন ? প্রথম বিশ্বে উল্লেখ যোগ্য কোন প্রলেতারিয়েত শ্রেণী নেই। প্রথম বিশ্বের মানুষ আরামদায়ক ও নিরাপদ জীবনযাপন করছেন। তারা শ্রেণী স্বার্থে সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে ভুমিকা পালন করছেন। আমাদের দায়িত্ব হলো এই পরিস্থিতিতে করনীয় কি তা নির্নয় করা । প্রথম বিশ্বের জীবন যাত্রা অনেক বদলে গেছে । তা এখন আর ১৯১৭…

View original post 657 more words